সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই তার বিদায় চাইলেও আইন ও সংবিধান অনুযায়ী তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
একই সঙ্গে তারা অবশ্য বলছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের পর ‘আইন ও সংবিধানের’ বিষয়টিই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে ‘জনআকাঙ্ক্ষার’ আলোকে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে অন্য কাউকে সে পদে বসাতে চাইলেও’ সেটি অসম্ভবও কিছু নয়। যদিও সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি।
অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করলেও ‘তার পদত্যাগ কিংবা অপসারণের’ দাবির প্রশ্নে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।বিএনপি দলীয়ভাবে সিনিয়র নেতাদের এ বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়েছে আর জামায়াতে ইসলামী শুধু বলেছে ‘রাষ্ট্রপতি অসত্য বক্তব্য দিয়ে ওই পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন’। যদিও উভয় দলের নেতাদের কাছে বিবিসির প্রশ্ন ছিল যে ‘রাষ্ট্রপতি সরে যাক এটি তারা চান কি-না’।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোন দালিলিক প্রমাণ তার হাতে নেই’।
তার এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল-সমাবেশ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।এদিকে, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সংসদ নেই। স্পিকারও পদত্যাগ করেছেন। আর ডেপুটি স্পিকার কারাবন্দি। ফলে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে কিংবা দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে একটা সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।